![](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiyssWwz4Ks8qf0K3-p7iKp-KnJAhbntTaDtXPs_Ju8XyXJ9MEclfIAjK9HduOeIeUdLSVwZZgB6yveX5D1EyLuX3gfpeN6U2pyXFG_aiWqYB-J52I2z05qw7EBMjIdYq3Z5-m2mjex5dYv_CvflgXkHOePutl_Awm5M-N6wUl2njLAykDZs6Kx8ekB/s320/Chittagong_%20LGBT_Joint%20Press%20Release%2030.11.jpg)
একই সাথে উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তি প্রদানের জোড় দাবী জানিয়েছে বিআইএইচআর এবং জাস্টিসমেকার্স বাংলাদেশ ।
গতকাল ২৯ নভেম্বর ২০২১ খ্রীষ্টাব্দ তারিখে আরটিভিঅনলাইন ডট কমে প্রকাশিত খবর আনুযায়ী জানা যায় যে, চট্টগ্রামের রিয়াজউদ্দিন বাজারে গগন মার্কেটের দ্বিতীয়তলায় একজনকে ডেকে এনে নগ্ন ভিডিও ধারণ ও মাথার চুল কেটে দেওয়া হয়। এছাড়াও মারধর করে দশ হাজার টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (২৯ নভেম্বর) সকালে চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন জানান,এ ঘটনায় ১৯ বছর বয়সী রাশেদুল ইসলাম ও ১৬ বছর বয়সের নাঈম উদ্দিন নামে দুইজনকে গ্রেপ্তার ও টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে সায়েম খান নামে এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন রাশেদুল ইসলাম পূর্ব পরিচিত হওয়ায় শুক্রবার রিয়াজউদ্দিন বাজারে দেখা করতে আসে। পরে আসামি রাশেদুল ইসলাম বাসায় নিয়ে কোনো কথা না বলেই নাঈমও রাশেদ মারধর ও নগ্ন ভিডিও ধারণ করে। ইলেকট্রিক ট্রিমার মেশিন দিয়ে মাথার চুল কেটে দেওয়া এবং পরে নগ্ন ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে দশ হাজার টাকা আদায় করা হয়।
মামলার এজাহারে সায়েম খান উল্লেখ করেছেন,মো. রাশেদুল ইসলাম (১৯) এর সাথে বায়েজীদ থানাধীন কুলগাঁও আহসানুল উলুম জামিয়া গাউসিয়া কামিল মাদরাসায় পড়ালেখা করার সময় পরিচয় হয়। সেই সুবাদে গত এক সপ্তাহ ধরে আসামি মো. রাশেদুল ইসলাম আমাকে রিয়াজউদ্দিন বাজার তার সাথে দেখা করার প্রস্তাব দিয়েছিল নিয়মিতভাবে। তার কথায় রাজি হয়ে তার সাথে দেখা করার জন্যে রিয়াজউদ্দিন বাজার গিয়ে দেখা করে।
এজাহারে আরও উল্লেখ আছে,রাশেদুল ইসলাম তার বাসায় নিয়ে কোনো কথাবার্তা না বলে সায়েম খানের ওপর চড়াও হয় এবং কোমড়ের বেল্ট দিয়ে মাথায় এবং গায়ে আঘাত করে। এছাড়া হাতে স্টিলের রড দিয়ে আঘাত করার পর উলঙ্গ করে ফেলে। এর মধ্যে আসামি নাঈম ওই কক্ষে এসে আমাকে উলঙ্গভাবে দেখতে পায়। পরে নাঈম ও রাশেদ গালি দিতে থাকে এবং রাশেদ আমার নগ্ন অবস্থায় ভিডিও ধারণ করে।
বিআইএইচআর এবং জাস্টিসমেকার্স বাংলাদেশের মহাসচিব এবং বিশিষ্ট আইনজীবী ও সমকামী অধিকারকর্মী অ্যাডভোকেট শাহানুর ইসলাম সৈকত চট্রগামে যৌন সংখ্যালঘু সমকামী গে কিশোরকে শারীরিক নির্যাতনপূর্বক নগ্ন ভিডিও ধারণ ও ব্ল্যাকমেইলিং করে চাঁদা আদায়ের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং পুলিশ কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে অভিযুক্ত সকল অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনে সোপর্দ করার আহবান জানিয়েছেন।
অ্যাডভোকেট শাহানূর ইসলাম মনে করেন যে, উল্লেখিত ঘটনা বাংলাদেশের কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়,বরং সারা দেশে যৌন সংখ্যালঘু এলজিবিটি সম্প্রদায়ের ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যাপকভাবে চলমান বৈষম্য, হত্যা, আঘাত ও মানবাধিকার লংঘন বিষয়ের একটি অংশ মাত্র।
তাছাড়া, পরিবার থেকে সমাজ এবং সমাজ থেকে রাষ্ট্র সর্বত্র সমকামী সম্প্রদায়ের ব্যক্তিরা প্রতিনিয়ত বৈষম্যসহ যেসকল মানবাধিকার লঙ্ঘনের সম্মুখীন হচ্ছে সেসবের অধিকাংশ সামাজিক অগ্রহণযোগ্যতা ও অসহিষ্ণুতার কারণে জনসম্মুখের অগোচরে রয়ে যাচ্ছে বলে অ্যাডভোকেট শাহানুর মনে করেন।
তাই অ্যাডভোকেট শাহানুর ইসলাম সৈকত অবিলম্বে যৌন সংখ্যালঘু সমকামী লেসবিয়ান, গে, বাইসেক্সুয়াল ও ট্রান্সজেণ্ডারদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান পূর্বক দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারা বিলোপ করে সমকামী ব্যক্তিদের সুরক্ষা আইন প্রণয়নের জোড় দাবী জানিছেন।
No comments:
Post a Comment